০৫ জুন ২০২৩, সোমবার, ০২:১৮:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অভিজ্ঞতা ছাড়াই দারাজে পার্ট টাইম চাকরি, ৩০০ জনকে নিয়োগ তীব্র দাবদাহর কারনে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা লাইভে এসে পরীমণির স্বামী রাজ যা বললেন নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম কমেছে হবিগঞ্জে বাস অটোরিকশার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত অনেকেই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার, কিছু খাবার ফিটনেস ও হার্টের জন্য ভালো নয় আমের রাজ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ এখন পূর্ণ মৌসুম পরিবেশ বাঁচাতে অবৈধ স্মার্ট পণ্য আমদানিতে কঠোর পদক্ষেপ দাবি, বিআইজেএফ বর্তমানে দেশে ১৭০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং চলছে, নসরুল হামিদ প্রথমবারের মতো বন্ধ হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন
খাঁটি ঘি চেনার উপায়
সাইফুল ইসলাম মুন্না
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-০৭
খাঁটি ঘি চেনার উপায়

ঘি কার কাছে না ভালো লাগে? এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্নার কাজে ঘি ব্যবহার করা হয়।  অতীতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত ঘি বাড়িতে তৈরি করে থাকলেও এখন বাজারে তা পাওয়া যায়। নামে ‘খাঁটি’ লেখা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই ঘি খাঁটি হয় না।

আমরা অনেক সময়ই প্রয়োজনে বাজার থেকে ঘি কিনে থাকি কিন্তু । প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে বাজার থেকে ভেজাল ঘি বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু এখনও কিছু অসাধু ব্যক্তির চক্রান্তে  চলছে ভেজাল ঘিয়ের ব্যবসা।

বাংলাদেশের অনেক পাইকারী ও খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিকার সহ সরকারের অন্যান্য খাদ্য অধিদপ্তরের চালানো অভিযানে দেখা গিয়েছে যেসব ঘি বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে তাতে মূলত ভেজাল মেশানো থাকে।

অনেক সময় ভোক্তা অধিকারে চালানো অভিযানে দেখা গিয়েছে যে জব্দকৃত ঘি গুলোতে পাম তেল ব্যবহার করা হয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এক্ষেত্রে ঘি প্রস্তুতকারী কোম্পানী গুলো খাবারের স্বাদ একই রাখার জন্য রং এবং অন্যান্য কৃত্তিম ভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ফ্লেভার ব্যবহার করে থাকে। অনেক সময়ে মহিষের দুধের ঘিয়ে রং মিশিয়ে গরুর দুধের ঘিয়ের মতো রূপ দেওয়া হয়। কখনো কখনো এমন রং ব্যবহার করা হয়, যা আদৌ ভোজ্য নয়। ঘিয়ের মধ্যে দানা তৈরি করার জন্যও নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়।

তবে আপনি যদি ঘি না চিনে থাকেন তবে আমরা আপনাকে খাঁটি ঘি চেনার সহজ কয়েকটি উপায় বলব।

অবশ্যই বাজার থেকে ঘি কেনার আগে তা পরীক্ষা করার জন্য এর কিছু অংশ হাতের তালুতে নিন। যদি তা খাঁটি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই হাতের তাপে দ্রুত গলে যাবে।

এর পরও যদি আপনার মনের সন্দেহ দূর না হয় তবে  আবার কিছুক্ষণ চুলার সামনে ঘিয়ের বোতল রেখেও গলাতে পারেন। ঘি যদি গলতে সময় নেয় কিংবা রং হলুদ হয়ে যায়, তবে বুঝতে হবে ঘি খুব একটা খাঁটি নয়।

সে ছাড়া আপনি চাইলে আরো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এজন্য প্রথমে একটি শিশিতে ঘি এর কিছু অংশ ঢেলে নিন। তার পর শিশিটি তুলে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন গোটা শিশিতে জমাট বাধা ঘি একই রঙের তবে বুঝতে হবে ঘি খাঁটি।

অবশ্যই বাজারে যখন আপনি  ঘি কিনতে যাবেন তখন মনে রাখবেন ভেজালকারীরা  ঘিয়ের জন্য আলাদা আলাদা স্তরে আলাদা আলাদা রঙ ব্যবহার করে থাকে। তাই শরীরের শাস্ত্রের কথা চিন্তা করে উপযুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যদি আপনার মনের সন্দেহ দূর না হয় তবে  কোনো একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।

শেয়ার করুন