বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বৈরিতা চলছে এরপরও মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ বৈরিতা কে পাশে রেখে নতুন করে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। কিন্তু এর মধ্যেই ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জন নিয়ে বেশ চিন্তায় সৌদি আরব।
এ সময় সৌদি আরবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হয় তাহলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে। রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য প্রকাশ করে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেখানে বলা হয়েছে যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হয় তবে ইরানের উপসাগরীয় আরো প্রতিবেশী দেশগুলো নিরাপত্তা জোরদার করতে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে রোববার মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
এর আগে ২০১৫ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী এবং শক্তিশালী ৬ পরাশক্তি দেশের সঙ্গে পরমাণু সংক্রান্ত চুক্তি সই করে ইরান।
এর ফলে পামাণবিক বোমা প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম মজুতের ক্ষেত্রে রাশ টানতে বাধ্য হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রুহানির প্রশাসন। এছাড়া ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করে, সে দিকেও নজর রাখে জাতিসংঘ।
কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ত্রুটিপূর্ণ’, ‘একপেশে’, ‘এর কোনো ভবিষ্যৎ নেই’ অভিযোগ তুলে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার ব্যাপারে ইরানও উদাসীন হয়ে পড়ে। তারপর থেকেই ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তুমুল টানাপোড়েন শুরু হয়।
ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি এই অগ্রগতি ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ওয়ার্ল্ড প্রেস কনফারেন্সে একটি সাক্ষাৎকার দেন সৌদি আরবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল সেখানে তিনি ইরানের পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এবং বলেন ‘ইরান যদি একটি অপারেশনাল পারমাণবিক অস্ত্র পেয়েই যায়, তাহলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে।’
এসময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন আমরা এখন এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিপদজনক অবস্থা পার করছে আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে নজর দিতে হবে তাদের কাছ থেকে আমি এমনটাই প্রত্যাশা করব।