বর্তমানে ভিডিও দেখার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হল ইউটিউব। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি যখন কোন ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখে থাকেন এবং তার যখন কমেন্ট বক্সে আপনি যান তখন বিভিন্ন রকম কমেন্ট আপনি দেখতে পান। অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কমিটি আপনার কাছে বিব্রতকর বা আপনার সম্মান বা সংস্কৃতিকে আঘাত করছে।
এছাড়াও অনেক কমেন্ট এর কারনে ইউটিউব নানা রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। তবে ব্যবহারকারীদের এমন বিব্রতকর কমেন্ট এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই ইউটিউবারদের। আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে ওই চ্যানেলের দর্শকদের কাছেও নেতিবাচক প্রভাব পরে।
তবে সম্প্রতি বিষয়টি আমলে নিয়ে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ নতুন একটি পদ্ধতি চালু করেছে। যার মাধ্যমে এখন থেকে সরাসরি ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এসব বিভ্রান্তিকর কমেন্ট গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
যদি ইউটিউব এর কোন ভিডিও তে কোন ব্যবহারকারী কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে থাকে তবে তা যদি ইউটিউবে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তবে তারা সাথে সাথেই ওই ব্যবহারকারীর ফোনে একটি সতর্কবার্তা পাঠাবেন। ইউটিউব নিয়ে আসছে নতুন ফিচার। ইউটিউবের পলিসি বিঘ্নিত করে এমন কমেন্ট এলেই তা খতিয়ে দেখা হবে।
মূলত ইউটিউব এর মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীদের জন্য এবং ইউটিউবারদের জন্য স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যদি কেউ ব্যর্থ হয় তবে সেই ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে এমন সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। এছাড়াও নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যবহারকারী কোন ভিডিওতে একাধিকবার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে থাকেন তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমেন্ট মুছে ফেলবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
মূলত ব্যবহারকারীদের কুরুচিকর মন্তব্যের ফলে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রভাব পরে। তাছাড়া ওই ইউটিউবারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়, যা ইউটিউবের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে মোটেই কাম্য নয়। প্ল্যাটফর্মে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলার কথা জানিয়েছে ইউটিউব।
সম্প্রতি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের আনার নতুন ফিচারের মাধ্যমে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ইংরেজি ভাষাতে যেকোনো ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে তারা এখন থেকে অন্যান্য ভাষায় কমেন্টের বিব্রতকর মন্তব্যগুলো সনাক্ত করতে পারবেন এবং ওই ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে তারা সতর্ক বার্তা এবং যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ সিস্টেম এবং মেশিন লার্নিং মডেল স্প্যাম সনাক্ত এবং অপসারণ করার জন্য কাজ করে চলেছে। এমনকি ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে ১.১ বিলিয়নেরও বেশি স্প্যাম মন্তব্য সরিয়েছে ইউটিউব।