আমন মৌসুমের শুররতে বাড়তি দরে আমন ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন নওগাঁর কৃষক। তবে নওগাঁর হাটে মোটা ধানের দাম কমলেও সুগন্ধি জাতের ধানের দও বেড়েছে মণপ্রতি ৮০ টাকা করে।
তবে এদিকে, সরকারি নির্ধারিত দাম কম আর হাটে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় গুদাম গুলোতে ধান দিতে রাজি হচ্ছেনা চাষিরা।
নওগাঁর মহাদেবপুর ধানের হাটে সকাল থেকেই বেচাকেনা বেশ জমজমাট হতে ওঠে এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে কৃষকের গোলা থেকে আসা হাটে কেনা ধানের স্তূপ বাড়তেই থাকে।
গেল সপ্তাহ থেকে নওগাঁর হাটে মোটা স্বর্ণা ও সুগন্ধি জাতের ধানের সরবরাহ বেশ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে হাটে মোটা স্বর্ণা-৫, আটাশ, উনপঞ্চাশ ও নাজিরশাইল ধান মণপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কম দামে কিনছেন মিল মালিকরা।
তবে সুগন্ধি জাতের ব্রিধান-৯০ ও ব্রিধান-৩৪ ধানের দাম মণপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দাম বেড়েছে ।তবে কৃষকরা বলছেন মৌসুমের শুরুতেই বাড়তি দরের কারণে ভালো লাভের আশা করছেন তাঁরা ।
কৃষকরা বলছে সব খরচ বাদ দিয়েও এবার প্রতি বিঘায় ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা মুনাফা হবে তাঁদের। কৃষকরা ভয়ে আছেন দর পড়ে গেলে ক্ষতির শঙ্কাও রয়েছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে সরকার ২৮ টাকা কেজিতে ধান কেনার ঘোষণা দিলেও ধানের হাটে বাড়তি দরের কারণে সরকারের ঘরে ধান দিতে রাজি নন চাষিরা।
চাষিরা জানান, এ বছর সার ও কীটনাশকের দাম খুব বেড়েছে। সরকার যে দাম দিতে চাচ্ছেন সে দামে ধান দিলে তাদের মাঠে মারা যাওয়ার অবস্থা হবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি গত বছর থেকে এবার মণপ্রতি ২০০ টাকা বাড়তি দরে ধান কিনতে হচ্ছে। তাঁরা বলছেন মোটা আমনে গত বছরের চেয়ে মণপ্রতি ১০০ টাকা বেড়েছে আর চিকন ধানের দাম ২৫০ টাকা বেড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর জমি থেকে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকেরা তাঁদের ঘরে তুলেছেন।