মাথার চুল দিন দিন পাতলা হয়ে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে, বা টাক পড়ছে এমন চিন্তার অন্ত নেই। ছেলেমেয়ে সবাই এমন সমস্যার শিকার। চুল কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। চুলে রয়েছে ৯৭ ভাগ প্রোটিন ও ৩ ভাগ পানি । চুলের যে অংশ আমরা দেখি ওটা মূলত মৃতকোষ। চুলে সাধারণত অনুভূতিশীল কোনো কোষ থাকে না, প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে বড় হতে থাকে এটি।
চুল দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে, এরপর বৃদ্ধি পাওয়ার হার কমে যায়। গ্রীষ্মকালে চুল দ্রুত বড় হলেও শীতকালে চুল কম বড় হয়। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন চুল কিছু না কিছু ঝরবেই।
তবে শীতে চুল ঝরে বেশি পড়তে থাকে । চুল ঝরে পড়া যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতে চারটি বিষয়কে চুল পড়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এগুলো হলো:
১। আয়রনজনিত কারন: মানব শরীওে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তবে হঠাৎ করেই চুল পড়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলে অত্যধিক দুর্বলতা, ত্বক ফ্যাকাসে হওয়া, মাথাব্যথা, হাতের তালু ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয় এবং চুল ঝড়ে পড়ার সমস্যাটিও এ সময় মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়।
২। লো-প্রোটিন ডায়েট মেইনন্টেইন : যারা ওজন কমাতে লো প্রোটিন ডায়েট মেনে চলেন তারা অনেকেই চুল ঝরে পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়। ডায়েট মেনে চলায় শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় না। এতে করে শুরু হয় চুল ঝরে পড়ার সমস্যা।
৩। ভিটামিন বি এবং ডি'র অভাব : চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভিটামিন বি ও ডি-এর কার্যকারিতা বেশি। শরীওে এসবের ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিবে।
৪। অতিরিক্ত খুশকি: শীত এলেই মাথায় রুক্ষ্মতার সমস্যা দেখা দেয় ও খুসকি বেড়ে যায়। ধুলো-ময়লার কারণে চুলের ফলিকলগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারণে চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ঝড়ে পড়ে।
সুতরাং চুল পড়ার সমস্যা সমাধানেন আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং চুলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খুশকির সমস্যা সমাধান করতে পারলেই শীতে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখা যাবে।