আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের হঠাৎ করে গলা বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়। মূলত এরকম রোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধের ওপর ভরসা করি। এছাড়াও মূলত যখন আমরা ভরপেটে খাবার খেয়ে থাকি তখন ওই ধরনের বুক জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঠান্ডা পানীয়ও খেয়ে থাকেন। জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনেও এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায় বলে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদি কোন ব্যক্তির হজমের সমস্যা থাকে এবং সেই ব্যক্তির খাবার রুটিন যদি ঘনঘন পরিবর্তন আনা হয়। তবে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের খাবারে রুটিনের পরিবর্তন না আনাই ভালো এবং প্রতিদিন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমাতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে 2 ঘন্টা পূর্বে খাবার খেতে হবে।
গলা-বুক জ্বালা করলেই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে ফেলা একেবারেই অনুচিত। কারণ, এই জাতীয় পানীয় খেলে ঢেকুর তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিড মুখে উঠে আসতে পারে। বমি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই যেসব ব্যক্তি ভরপেট খাবার খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে কোমল পানীয় পান করে থাকেন তারা এখন থেকে এই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
আমাদের ভিতরে অনেক ব্যক্তি আছে যারা বালিশ ছাড়া সরাসরি ঘুমাতে পছন্দ করেন আপনার এই অভ্যাসটি একটি কারণ হতে পারে। কেননা চিকিৎসকরা বলেছেন,শোয়ার সময় পা এবং মাথা যেন একই সরলরেখায় না থাকে। মাথার দিক একটু উঁচুতে রাখতেই পরামর্শ তাদের।
যাদের শরীরে তুলনামূলক ওজন বেশি তাদের জন্য পরামর্শ হলো ওজন কমানোর চেষ্টা করুন এবং রুটিন অনুযায়ী খাবার খাওয়া এবং শরীর চর্চা করুন। কেননা ওজন বেশি থাকলে হজমের সমস্যা হয় এবং এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নানা কাজের মধ্যে বাড়তে থাকা মানসিক চাপও হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তার ওপর যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা হলে তো সমস্যা আরও বাড়বেই। তাই মানসিক চাপ কমাতে হবে।