সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক রয়েছে। তাই চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আর্জেন্টিনার মেসির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিল আর্জেন্টিনা। সে সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ খেলেছিল লিওনেল মেসি। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বোর্ডের ভাষায় গত এক দশক আগে আর্জেন্টিনা দলকে বাংলাদেশে আনতে যে অর্থ খরচ হয়েছিল সেই তুলনায় এবার বাংলাদেশ তাদের আনতে আরো বেশি অর্থ গুনতে হবে। এখন তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার জন্যই ৭ মিলিয়ন (ডলার) লাগতে পারে। আর পুরো ম্যাচের ব্যয় ১০ মিলিয়নের মতো হতে পারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৫ কোটি টাকা)।’
২০১১ সালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল নাইজেরিয়া। এবার প্রতিপক্ষ কারা হবে সেটা নিয়ে এখনো ভাবছেন না বাফুফে সভাপতি, ‘আগে আর্জেন্টিনাকে নিশ্চিত করতে চাই। এরপর প্রতিপক্ষ ঠিক করা হবে।’ চলতি বছরের ফিফা ক্যালেন্ডার ঘোষিত হয়েছে। আপাতত জুন-জুলাইয়ের উইন্ডো টার্গেট করছে বাফুফে, ‘মার্চ উইন্ডোতে সম্ভব হচ্ছে না। জুন উইন্ডোতে আনার চেষ্টা থাকবে।’
এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটের সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি হল তা হল স্টুডিয়াম কেননা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এখন সংস্কারের কাজ চলছে। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে দেখা করেছেন বাফুফে সভাপতি। সেখান থেকে আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। জুনের আগে স্টেডিয়াম পাওয়া যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।’
আর্জেন্টিনা দল ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দলের সময় আলোচনা হয় তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা বিপত্তি দেখছেন বাফুফে সভাপতি‘পিএসজিতে মেসি, নেইমার, এমবাপে রয়েছে। কিন্তু ওখানে সমস্যা হচ্ছে, ক্লাবে তো ফিফা ক্যালেন্ডার নেই। তাদের আনতে হলে প্রি সিজনে আনতে হয়। মেসির চুক্তি এই বছর পর্যন্ত। মেসি পিএসজিতে না থাকলে তো আর পিএসজিকে আনা যায় না।’