নওগাঁর ধামইরহাটে ধর্ষন চেষ্টা মামলার বাদীর বাড়ীর সামনে অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে দূর্বৃত্তরা। মামলায় জামিন পেয়ে প্রতিপক্ষরা এই হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা ভুক্তভোগীদের।
হামল বিষয়ে (২৩ জানুয়ারী) রাতে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ও মামলা বাদী রেবেকা সুলতানা।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট’২০২২ তারিখে আড়ানগর ইউনিয়নের গোকুল গ্রামের রেবেকা সুলতানার বিবাহিত কন্যা (১৮) কে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ এনে ধর্ষণের চেষ্টাকারী খেয়াড়শুকনা গ্রামের মোতালুর ছেলে সজল হোসেন ও গোকুল গ্রামের ধনবর আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন।
এরপর ধনবরের পুত্রবধু বিথী খাতুন নামে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় চলতি মাসের ২২ জানুয়ারী স্বেচ্ছায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত ১নং আসামীকে কোর্ট হেফাজতে ও ২ এবং ৩ নম্বর বিবাদীকে জামিন প্রদান করেন। ওই রাতেই বাদী রেবেকা সুলতানার বাড়ীর প্রধান ফটকের সম্মুখে আড়াই বিঘার খড়ের গাদা ও অতি সন্নিকটে আরও একটি খড়ের গাদায় অগ্নিকান্ড ঘটে।
এদিকে মধ্যরাত দেড়টার দিকে বাহিওে গিয়ে রেবেকা সুলতানা অগ্নিকান্ড দেখে এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তা নিয়ন্ত্রনে আনে। বাদী রেবেকা সুলতানার ধারনা ধর্ষন মামলার আসামী ছানোয়ার ও তার বাবা ধনবর আলী এই অগ্নিকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। দুটি ঘড়ের গাদায় অগ্নিকান্ডে ৯৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের দাবী।
অভিযোগটি অস্বীকার করে ধনবর আলী বলেন, আমি স্ট্রোকের রোগী, অসুস্থ্য মানুষ, আমার জামাইয়ের মোটরসাইকেল চুরি হারিয়েছে জন্য আমি দুঃচিন্তায় আরও অসুস্থ্য হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি, আমি কারও খড়ে আগুন দেইনি, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে প্রতিপক্ষরা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাসিয়েছে, আবারও অগ্নিকান্ডের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে তারা।’
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মিঠন জানান, রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ডাক-চিৎকার শুনে আমিসহ বেশ কয়েকজন আগুন নিভাতে সহযোগিতা করেছি, তবে কে বা কাহারা আগুন দিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।