টাঙ্গাইলের এক কলেজছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ সোমবার টাঙ্গাইল সদর থানা আমলি আদালতের বিচারক মনিরা সুলতানা এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, মো. মনজুর হোসেন ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
ইউএনওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কলেজছাত্রীর, তদন্তে প্রশাসন ইউএনওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কলেজছাত্রীর, তদন্তে প্রশাসন
টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তাঁরা একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন। পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী মামলা করেন।
ধর্ষণের অভিযোগে করিমগঞ্জের সেই ইউএনও প্রত্যাহারধর্ষণের অভিযোগে করিমগঞ্জের সেই ইউএনও প্রত্যাহার
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। টাঙ্গাইল পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৪৯৩ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আজ তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
মনজুর হোসেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার চরঝিকড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন