যদিও আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, প্রকৃতিতে শীতের অনুভূতি তীব্র না হলেও, শীতকাল একেবারে চলে যায়নি।
রাজধানীসহ সারা দেশে গত এক সপ্তাহ ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েছে। ফলে শীতের অনুভূতি কমে গিয়ে পরিবেশ অনেকটা নাতিশীতোষ্ণ হয়ে ওঠেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুম। তবে চলতি বছর জানুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই শীতের তীব্রতা কমে গেছে। বিষয়টি কিছুটা অস্বাভাবিক।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, বাংলা ঋতুর হিসেবে পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীতকাল হলেও দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। সে হিসেবে শীতকাল একমাসেরও বেশি সময় বাকি। তাই পরিবেশ তুলনামূলক কিছুটা উষ্ণ হলেও যে কোনো সময় আবারও ফিরতে পারে শীত।
তিনি বলেন, তবে চলতি মাসের ৩১ তারিখে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে রাজশাহী-রংপুরের দিকে বৃষ্টি হওয়ার কিছুটা আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে এ দুই বিভাগে শীতের তীব্রতা আবারও কিছুটা বাড়বে।
তবে ওমর ফারুকের মতে, শীতের তীব্রতা আবার বাড়লেও ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মতো শীত অর্থাৎ দেশে আবারও শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে শীত কমে গেলেও ফেব্রুয়ারি মাসে কুয়াশার প্রবণতা কিছুটা বাড়বে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পাশাপাশি সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা বর্ধিত পাঁচদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে