গবেষণা বলছে প্রেমে পড়লে নাকি মানুষের বুদ্ধি কমে যায়। প্রেম হলো ভালোবাসার হল অনুভূতি। প্রেমে পড়ার অনুভূতি অন্য সবকিছুর চেয়ে ভিন্ন। নারীদের চেয়ে পুরুষরা নাকি বেশি প্রেমে পড়ে। এমনটিই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রেমে পড়লে নাকি মানুষের বুদ্ধি কমে যায়? কথাটি কতটুকু সত্য।
চলুন জেনে নেওয়া যাক গবেষকরা কী বলছেন, নেদারল্যান্ডসের লেইডেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকরা এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন।
গবেষকদের মতে, সম্পর্কের প্রথম পর্যায়কে বলা হয় আবেগপূর্ণ প্রেম। এই পর্যায়টি দুজনের মধ্যে আকর্ষণের জন্য দায়ী। কোন বয়সে বিয়ে করলে সুখী হওয়া যায়? জানালো গবেষণা বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রেমে পড়ার সময়, মানুষ তাদের আবেগে তীব্র পরিবর্তন অনুভব করে, যা মনকে অপ্রতিরোধ্য আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ করে তোলে।
ফলে মানুষকে অনেক বেশি সুখী বোধ করেন। তবে গবেষণা বলছে, প্রেমে পড়া আমাদের সুখী করলেও মানসিক ক্ষমতার ওপর এর তীব্র প্রভাব পড়ে। এ বিষয় সম্পর্কে জানতে গবেষকরা ৪৩ জন যুবককে নিয়ে একটি পরীক্ষা চালান। যারা এক থেকে ৬ মাস ধরে প্রেম করছেন। প্রথম প্রেম কেন ভোলা যায় না? অংশগ্রহণকারীরা ধাপে ধাপে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা দেন।
প্রতিবার পরীক্ষার আগে তাদের রোমান্টিক গান শুনিয়ে প্রিয়জনের কথা চিন্তা করতে বলা হয়েছিল। প্রেমময় মেজাজে রাখার আগে ও পরে অংশগ্রহণকারীরা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা দেন। ফলাফল দেখে গবেষকরা বিস্মিত হয়ে যান।
দেখা যায়, রোমান্টিক মেজাজে থাকাকালীন অংশগ্রহণকারীরা পরীক্ষায় আরও খারাপ ফলাফল করেছেন। ভালোবাসার মানুষকেই যে কারণে বিয়ে করা উচিত মজার বিষয় হলো, এই প্রভাব শুধু পুরুষদের মধ্যেই নয় নারীদের মধ্যেও দেখা গেছে।
এ কারণেই গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রেমে পড়লে আপনি সুখ অনুভব করবেন ঠিকই তবে বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে আগ্রহ ও কার্যকারিতা কমে যাবে। প্রেম প্রত্যেককে প্রভাবিত করে ও আমাদের ক্ষমতাকে একাধিক উপায়ে কমিয়ে দেয়। গবেষকরা আরও বলছেন, একটি রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার শুরু থেকেই আমরা প্রিয়জনের প্রতি আবেশীভাবে মনোযোগী হয়ে উঠি। আর এ কারণে দৈনন্দিন কাজগুলোর পাশাপাশি কাজ বা পড়াশোনায় আমাদের মনোযোগ কমে যায়। সূত্র: ব্রাইট সাইড