২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার, ০১:৪৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আরাভ খানকে আটকের তথ্য জানা নেই, জানালেন আইজিপি হাসপাতালের টয়লেটে নবজাতক রেখে পালিয়ে গেছে এক মা, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা ৫৫ কেজি গাঁজা-৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই ব্যবসায়ী গ্রেফতার খালার জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল আপন দুই ভাইয়ের ফেসবুকে প্রেম, ৭১ বছরে এসে বিয়েটা করেই ফেললেন অধ্যাপক শওকত আলী যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাত, নিহত হয়েছেন প্রায় ২৩ জন আ’লীগ নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
সাধারণ কাশি নাকি যক্ষ্মা বুঝে নিন ৯ লক্ষণে
বৃত্ত মিডিয়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-০২-১৯
সাধারণ কাশি নাকি যক্ষ্মা বুঝে নিন ৯ লক্ষণে

সাধারণ কাশি নাকি যক্ষ্মা বুঝে নিন ৯ লক্ষণে। একটানা কাশির লক্ষণকে কমবেশি সবাই মৌসুমি ফ্লুর লক্ষণ হিসেবেই বিবেচনা করেন। তবে হঠাৎ করেই সর্দি ছাড়াই যদি কাশির সমস্যা দেখেন তাহলে সতর্ক হতে হবে। কারণ যক্ষ্মার অন্যতম লক্ষণ হলো কাশি। বেশিরভাগ মানুষই যক্ষ্মার কাশিকে সাধারণ ভেবে ভুল করেন।

মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিবি সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন কাশিতে ভুগতে হয়। সাধারণ কাশি উপরের শ্বাসনালির সংক্রমণের কারণে হয়। তবে সাধারণ নাকি যক্ষ্মার কারণে কাশি হচ্ছে বুঝবেন যে লক্ষণে-

এ বিষয়ে ভারতের গুরুগ্রামের সিকে বিড়লা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পালমোনোলজির প্রধান ডা. কুলদীপ কুমার গ্রোভার জানান, প্রচণ্ড কাশির সমস্যায় ভুগলে এর সম্ভাব্য কারণ, ধরন ও সময়কালের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। 

পালমোনারি যক্ষ্মা ও দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার কারণে কাশি হতে পারে। তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রাথমিক পর্যায়ে পালমোনারি যক্ষ্মার লক্ষণও সাধারণ কাশির মতো। যদি আপনি একটানা ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে কাশিতে ভোগেন তাহলে তা যক্ষ্মার ইঙ্গিত দেয়।

এছাড়া ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী কাশির পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বা রাতের ঘামের মতো অন্যান্য লক্ষণও যক্ষ্মার সাধারণ লক্ষণ হতে পারে। 

যে লক্ষণে যক্ষার লক্ষণ কী কী? >> গুরুতর কাশি (২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়) >> পরিবারে টিবির রোগী থাকলে >> কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা >> ক্লান্তি >> ক্ষুধা কমে যাওয়া >> ওজন কমে যাওয়া >> শরীরে ঠান্ডা লাগা >> জ্বর >> রাতে ঘাম হওয়া ইত্যাদি। 

টিবি কেন হয়? >> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে >> টিবি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ >> অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া >> নিয়মিত ধূমপান >> দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভোগা ইত্যাদি।

চিকেন স্ট্যু’তে টিবি’র চিকিৎসা কী? টিবি’র প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে চিকিৎসকরা ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার রোধের জন্য ৬ মাসের ওষুধ দেন। নিয়মিত ফলোআপের পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে রোগী আবার টিবি থেকে সংক্রমিত না হন।

টিবি চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্বে ৮-৯ মাসের টিবি ওষুধ দেওয়া হয়, যা শরীরের অভ্যন্তরে সুপ্ত যক্ষ্মাকে মেরে ফেলে। যদি রোগী ক্যাটাগরি ওয়ান ও টু এর ওষুধ খেয়েও সুস্থ না হন, সেক্ষেত্রে আবার তৃতীয় বা চতুর্থবার টিবিতে আক্রান্ত হতে পারেন। একে বলা হয় এমডিআর টিবি, যার মানে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি।

শেয়ার করুন