নাটোরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পানি তোলায় নামছে পানির স্তর। সচল প্রায় ৪০ হাজার অগভীর গভীর ও অগভীর সেচ পাম্পের মধ্যে অবৈধ ৩৩ হাজার সেচ পাম্প। সেচ কমিটি থাকলেও, নেই কোনো তদারকি।
এদিকে, জেলার চলনবিল ও হালতি বিলে বোরো ধান আবাদের জন্য ২টি বিল ছাড়াও পুরো জেলায় সেচের জন্য ৩৯ হাজার ৩৬০টি গভীর ও অগভীর সেচ পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৭০টির অনুমোদন থাকলেও ৩২ হাজার ৯০০টির অনুমোদনহীন।
হালতি বিলের এক কৃষক বলেন, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার সেচ বেশি লাগছে। আর বেশি সেচ দিতে গিয়ে নামছে পানির স্তর। এর ফলে অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে।
তাঁর দাবি, সেচের পদ্ধতির বিষয়ে কর্মকর্তাদের সচেতন করেনি। আর এগুলো অবৈধ তাও তারা জানেন না।
এদিকে, নাটোরের বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল করিম বলেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৩০৭টি সেচ পাম্পের আওতার জমিতেও অবৈধভাবে সেচ পাম্প বাসানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, পানি উত্তোলনের নিয়ম না মানায় বিলে পানির স্তর ৩০ ফিট নিচে নেমেছে। এভাবে পানি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে পানির স্তর নিচে নামতে থাকবে।
পল্লী বিদ্যুৎ নিয়মনীতি মেনে সেচ পাম্পে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং অবৈধ সেচ পাম্পের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থাকলে বিচ্ছিন্ন করা হবে এমনটা জানান নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার ।
পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে।