নওগাঁয় বরেন্দ্র এলাকার বাগানে গত তিন বছরের মতো এবারও নওগাঁ দেশের শীর্ষ আম উৎপাদনকারী জেলা হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিকরা। এ এলাকায় আমের মুকুলের ঘনত্ব বেশি।এদিকে, কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে। দাম পেলে হাজার কোটি টাকার বেশি বাণিজ্য হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার মুকুল দেরিতে এসেছে। মুকুল দেরিতে এলেও ঘনত্ব ও আমের গুটি দেখে আশাবাদী বাগান মালিকরা।ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মুকুলের শোভা ছড়াতে থাকে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার আমবাগানগুলোতে।
এবং দু-সপ্তাহের ব্যবধানে এসব গাছের মুকুল পরিণত হয়েছে গুটি আমে। হালকা বাতাসে দোল খাওয়া এসব গুটি আম আশা জাগাচ্ছে বাগান মালিকদের। কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতে তাই বাগানগুলোতে চলছে নিবিড় পরিচর্যা।
এদিকে, বাগান মালিকরা বলছেন, মুকুল দেরি করে এলেও এবার মুকুল ও আমের গুটির পরিমাণ অনেক। আবহাওয়া ঠিক থাকলে গতবারের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
তবে খরার কারণে যেন আম নষ্ট না হয়, সে ক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় নিয়মিত সেচ দেয়া ও গাছে ছত্রাক রোধে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান কৃষি কর্মকর্তার।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বলেন, ‘একটি কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি কৃষকদের।’তিনি বলেন, গোপালভোগ, আম্রপালি, ব্যানানা, বারি ফোরসহ অন্তত ২৫ জাতের সুস্বাদু আম উৎপাদন হয় জেলার বরেন্দ্র এলাকার বাগানগুলোতে। গেল বছর ব্যানানা ও রুপালি জাতের ৫০ মেট্রিক টন আম রফতানি হয় এ জেলা থেকে।
প্রসঙ্গত, জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট-বড় ৯ হাজার ৭০০ আমবাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে এসব বাগান থেকে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের, যা গত বছরের চেয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন বেশি।