বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয় নানা অলিগলি পেরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আবারো নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
তবে এতসব চ্যালেঞ্জ প্রথম ম্যাচেই টপকে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে আজই প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দ পেল সাকিব আল হাসানের দল।
এসেছেন নতুন কোচ, বিপিএলে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাদের পরীক্ষা দিতে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে।
বল হাতে হাসান মাহমুদদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাকিব অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
চট্টগ্রামের সাগরিকা পাড়ে দর্শক ছিল না শেষ ওয়ানডেতে, তবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সাসনে সাকিবের দল প্রথমবার হারাল ইংল্যান্ডকে। মাঠজুড়ে শুধু একটাই চিৎকার, একটাই হুংকার ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ দল।
প্রায় ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার দেখালেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। তবে আগ্রাসী ইনিংস খেললেও পারেননি ইনিংস দীর্ঘ করতে।
১৪ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই ওপেনার। এরপরই দুঃস্বপ্নের ওয়ানডে সিরিজ কাটানো লিটনও প্রত্যাবর্তনের বার্তা দিয়ে ফিরে যান ১২ রান করে।
এরপরের গল্পটা শুধু শান্ত আর হৃদয়ের। জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, আদিল রশিদ কাউকেই ছাড় দেননি শান্ত।
মার্ক উডের ৪ বলে ৪ টা চারই হাঁকিয়ে বসে বাঁহাতি এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে শান্তকে সঙ্গ দিয়ে চলছিলেন অভিষিক্ত হৃদয়। ২৭ বলে শান্ত তুলে নেন অর্ধ-শতক।
তবে এরপরের বলেই ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান হৃদয়। অর্ধ-শতক করে শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
৫১ রানে থাকা অবস্থায় উডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার এই ব্যাটার। বাকি গল্পটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ করেছেন সাকিব।
এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অরপরাজিত।
ইংলিশদের হয়ে ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড। দিনের শুরুতে অবশ্য টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংলিশরা।
ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তবে ৩৮ রানে সল্ট ফিরলেও ইনিংসের শেষ দিকে গিয়ে ৬৭ রান করে ফেরেন বাটলার।
এছাড়া বেন ডাকেট করেন ২০ রান। টাইগারদের হয়ে দারুণ বল করা হাসান মাহমুদের বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয় ইংলিশ ব্যাটারদের।
এছাড়া ডেথ ওভারে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানরাও করেছেন নজরকাড়া বোলিং। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ইংলিশরা তাদের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ করে মোটে ৩০ রান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন হাসান মাহমুদ।
এছাড়া ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন, সাকিব, নাসুম এবং মোস্তাফিজুর।