পুলিশ দেশের অন্যতম ত্রাস: ফখরুল প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, জনগণের টাকায় পালিত পুলিশ বাহিনী এখন দেশে মারাত্মকভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের রাজনৈতিক লোকজন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। যার দোষ চাপাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। আর জনগণের সেবক পুলিশ প্রতিটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সরকারি দলের কাউকে তো কিছু বলছেই না, উল্টো পুলিশ এখন সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। বর্তমান সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারলেই কেবল দেশের সার্বিক সংকটের সমাধান হবে।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এসব কথা বলেন। অগ্নিসন্ত্রাস সবসময় আওয়ামী লীগই ঘটিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রহীনতা ও জবাবদিহি নেই বলেই দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে।
সরকার পূর্বপরিকল্পিতভাবে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। পঞ্চগড়ের সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তদন্ত কমিটির বিষয়বস্তু তুলে ধরতে আজকের এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো সম্প্রদায়ের ওপর হামলা অমানবিক ও দুঃখজনক। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে সরকার ও পুলিশ দায়িত্বে অবহেলা করেছে।
এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতেই পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা। পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে অসৎ উদ্দেশে এ কাজটি করেছে। অথচ পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতেই গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে সরকার।
পঞ্চগড়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বিএনপির তদন্ত কমিটির প্রধান দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তারা এই ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক আমাদের সময় দিয়েও পরে আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জাবিউল্লাহ ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
