চারো দিকে যত চোখ যায় সব জায়গায় চা বাগান মাঝখানে দিয়ে বয়ে চলেছে একটি পাহাড় ছড়া। চা বাগানের মাঝখানে মাথা উঁচু করে ফুটেছে শরতের বার্তা নিয়ে আসা কাশফুল যা প্রকৃতির সৌন্দর্য কে আরো সুন্দর করে তুলেছে। ছড়ার চারপাশে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে কাশফুলের বাগান গড়ে উঠেছে। চা বাগানের ভিতর ফুটে ওঠা কাশফুল দেখতে অনেক দর্শকই ভিড় জমাচ্ছেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা শহরে পাঁচালী এলাকায় এমন কাশ ফুলের বাগান দেখা গেছে। প্রকৃতির এমন দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছে লাখ পর্যটক। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো মানুষ এই বাগান দেখতে আসছে।
বেলতলী এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রতিবছর আগস্ট এর শুরু থেকে শেষের দিকে কাশফুলগুলো ফুটে ওঠে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কাঁশফুল গুলো পুরো দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চা বাগানে ছড়িয়ে যায়। সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরের শুরুতে কাশফুলগুলো পুরোপুরি ঝরে যায়। সেপ্টেম্বরের দিকে সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন।
ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক সায়মন করিম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তিনি শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। এখানে নানান জায়গায় ঘুরে দেখেছেন। তিনি তার এলাকার স্থানীয় ব্যক্তির মুখে কাশবনের কথা শুনে এখানে এসেছেন। চারদিকে সাদা কাশবন এ পরিবার নিয়ে ঘুরতে তার বেশ ভালই লাগছে। তিনি আরো বলেন ঢাকার কাশবন আর এখানকার কাজগুলো সৌন্দর্য পুরোপুরি ভিন্ন।
কাশবনের ছবি তুলতে আসে স্থানীয় এক ব্যক্তি অনির্বাণ সেনগুপ্ত বৃত্ত মিডিয়াকে বলে জায়গাটা খুবই সুন্দর। গত দুই মাস ধরে কাশফুলগুলো এখানে ফুটে থাকে। তখন স্থানীয় ব্যক্তির পাশাপাশি সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকদের এখানে বেড়াতে আসেন।
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল শহরের পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন বৃত্ত মিডিয়াকে কে বলেন রাজধানী হিসেবে শ্রীমঙ্গল দেশব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছ।
তিনি আরো বলেন, এখানে চা বাগানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা আরো অনেক জায়গা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে কাশফুলের ঘেরা বালুচর টি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।