ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরও ঝিনাইদহে কমেছে পেঁয়াজের দাম। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম। পেঁয়াজের এ দামে হতাশ কৃষকরা। এতে লোকসানের আশঙ্কায় চাষিরা।
এদিকে, ঝিনাইদহের শৈলকুপা পেঁয়াজ হাট। জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি পেঁয়াজের বাজার। শনি ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটে ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পেঁয়াজ আনতে শুরু করেন কৃষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে ওঠে বেচাকেনা।
কৃষকরা জানায়, বর্তমানে পেয়াজের দাম খুবই কম। এতে উৎপাদন খরচ উঠাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর বর্তমানে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ থাকায় ও সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
শৈলকুপা বণিক সমিতির সদস্য ফারুক আহম্মেদ বলেন, আড়তগুলোতে আমদানিকৃত প্রচুর পেঁয়াজ রয়ে গেছে। এর কারণে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কম। তবে আগামী সপ্তাহে দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শৈলকুপার এ হাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৩ থেকে ১৫ হাজার মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়। যা সরবরাহ করা হয় ঢাকা, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।