প্রায় সাত বছর আগের রংপুরে জাপানি নাগরিক বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরেই নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল জিএমবি নামক এক জঙ্গি সংগঠন। এই হত্যাকাণ্ড সরাসরি জড়িত ছিল জেএমবি সদস্য। এর মধ্যে দুইজন পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলে বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রাখে আদালত।
পরবর্তী রংপুর দায়রা জজ আদালত ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এসময় আসামির পক্ষে সাক্ষ্য দেন একজন এবং আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন ৫৫ জন। আদালত বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিপক্ষের আপিল ওজিল আপিলের ওপর শুনানি শেষ করার জন্য হাইকোর্ট থেকে একুশে সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এএইচএম মাসুদ আন্দোলনের সময়ে গঠিত একটি বিশেষ বেঞ্চ গতকাল এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ ফারুক হোসেন। এবং তার সহযোগী আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ মান্না, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন মাসুদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।
এ সময় আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করতে অংশগ্রহণ করেছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম।
হাইকোর্টের এ বিশেষ বেঞ্চ সাত বছর আগে রংপুরে জাপানি হত্যাকাণ্ডের মামলার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশ জি এম বির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং এক জনকে খালাস দেন।হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মতামত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।