আমেরিকার ন্যাশনাল ও শানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফোরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া) জানিয়েছে, সৌরঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে ঝড় উঠেছে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে সৌরঝড়ে সূর্যের মধ্যেকার পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে চারদিকে।এর ধাক্কা লেগেছে পৃথিবীতেও।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পৃথিবীতে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে । আশঙ্কা যে, ঝড়ের প্রভাবে বিঘ্নিত হতে পারে বিদ্যুৎ প্রবাহ ও ইন্টারনেট সেবা।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে। যার প্রভাবে জিপিএস, বেতার যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে। ঝড়ের মাত্রা অনুযায়ী এই প্রভাব দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর ইন্টারনেট সংযোগে ব্যাপক প্রভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যেতে পারে।আবার কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
অন্যদিকে, এর প্রভাব জোরালো হলে পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সরবরাহও বিঘ্নিত হতে পারে বলে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীতে জি৪ শ্রেণির ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় উঠতে পারে। এতে বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতের ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিবে।
এদিকে সৌরঝড়ের কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রোববার (২৩ এপ্রিল) রাতে আকাশে মেরুজ্যোতির ছটা লক্ষ করা গেছে।একই দৃশ্যের সাক্ষী পোল্যান্ডের বাসিন্দারাও।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঝড়ের কারণে বিস্ফারিত সৌরপদার্থের কণা মহাকাশে ঘণ্টায় ৩০ লাখ কিলোমিটার বেগে পরিবাহিত হতে পারে। সেগুলো পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে বিপদ বাড়বে।