বগুড়ার প্রধান ডাকঘরে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আসামী শফিকুল ইসলাম(৪০) নওগাঁ সাপাহার এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায় সে দীর্ঘদিন যাবত দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকনপাটে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সাথে জড়িত। ১২ই মে সে শার্ট বানানোর জন্য নওগাঁ থেকে তার ব্যবহৃত লাল রংয়ের ফেজার মোটরসাইকেল যোগে বগুড়া’য় আসে এবং সেন্ট্রাল পোষ্ট অফিসের সামনে মোটর সাইকেল পার্কিং করে রাখার সময় সে দেখতে পায় লোকজন পোষ্ট অফিস থেকে টাকা তুলে বের হচ্ছে, তখন তার মাথায় পোস্ট অফিসের ভল্ট কেটে টাকা লুন্ঠন করার পরিকল্পনা আসে।
এরপর, সে পোষ্ট অফিসের ভেতরে গিয়ে ভোল্ট রুম ও সিসি ক্যামেরার অবস্থানসহ সব বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা নেন। এরপর বগুড়া নিউমার্কেট এলাকা হতে ডাকাতির সরঞ্জাম কিনে ডাকাতি করেন।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ইতিপূর্বে ২০১৯ সালে ডিএমপি বনানী থানা এলাকায় জনতা ব্যাংকের ভল্ট কেটে টাকা লুন্ঠন করার সময় ধৃত হয়। তাছাড়া সে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় দোকানঘরে চুরি, বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, ছিনতাইসহ পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতেও ডাকাতি ও ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে কারাভোগ করেছে বলে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য যে, ২৪ শে এপ্রিল রাত অনুমান ৩টায় বগুড়া সদর থানাধীন সাতমাথা এলাকায় প্রধান ডাকঘরের ভল্ট কেটে ডাকাতি ও ডাকঘরে পাহাড়ারত অফিস সহায়ক শ্রী প্রশান্ত কুমার আচার্য্যকে খুন করেন।
নিহতের নাম শ্রী প্রশান্ত কুমার আচার্য্য (৪৩) তিনি পোষ্ট অফিসে অফিস সহায়কের দায়িত্বে ছিলেন এবং শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ আচার্য্যের ছেলে।