ভারতে ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে তর্ক-বিতর্ক। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে গিয়ে এ নোট বদলে নেয়ার সুযোগ থাকলেও, অনেকেই সেটি কাঁচাবাজারের ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের কাছে গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
অনেকেই আবার দীর্ঘদিন ধরে নিজের কাছে গচ্ছিত রাখা এসব নোট নিয়েও পড়েছেন ভোগান্তিতে।মাত্র সাত বছর বয়সী ভারতের ২ হাজার রুপির ব্যাংক নোটের আয়ু আর মাত্র পাঁচ মাস। এর মধ্যেই ২০ হাজার রুপি পর্যন্ত দুই হাজারের ব্যাংক নোট যে কেউ যে কোনো ব্যাংকে গিয়ে কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছাড়াই পাল্টে নিতে পারবেন।
তবে ব্যাংকে গিয়ে দীর্ঘ লাইন এড়াতে অনেকেই ভিন্ন পন্থায় বাড়িতে জমানো ২ হাজার রুপির নোট বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। আর সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বির্তক!
এদিকে, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর বলছেন, ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেউ এই নোট নিতে না চাইলে জরিমানা হতে পারে।
অন্যদিকে, সোমবার (২২ মে) ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নোট বদলাতে কোনো তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই। প্রায় পাঁচ মাস সময় রয়েছে। ২ হাজারের রুপির ১০টি নোট নিয়ে যে কোনো ব্যাংকে গেলেই তা বদলে নেয়া যাবে। আর ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজারে এই ব্যাংক নোট নিতে কেউ অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না।
আবার, অনেকেই কর ফাঁকি দিতে অঘোষিত অর্থ বাড়িতে নিজের কাছে গচ্ছিত রাখেন। গচ্ছিত সেই অর্থ খুব সহজে জমিয়ে রাখার জন্য ২ হাজারের ব্যাংক নোট সহজপন্থা বলেও মনে করেন অনেকে। আর তাই নোট বদলে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়ার পর অঘোষিত সেই অর্থও এখন থলের বিড়ালের মতোই বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালেও ৫০০ এবং ১ হাজার রুপির নোট বাতিলের পর সরকার প্রবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় এবং বিশেষ ঘোষণাপত্র লেখার মাধ্যমে টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ দেয়। যদিও নতুন করে ২ হাজার রুপির নোট বাতিলের ঘোষণায় এবার সে ধরনের কোনো সুবিধার কথা বলা হয়নি।