০৫ জুন ২০২৩, সোমবার, ০২:১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অভিজ্ঞতা ছাড়াই দারাজে পার্ট টাইম চাকরি, ৩০০ জনকে নিয়োগ তীব্র দাবদাহর কারনে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা লাইভে এসে পরীমণির স্বামী রাজ যা বললেন নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম কমেছে হবিগঞ্জে বাস অটোরিকশার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত অনেকেই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার, কিছু খাবার ফিটনেস ও হার্টের জন্য ভালো নয় আমের রাজ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ এখন পূর্ণ মৌসুম পরিবেশ বাঁচাতে অবৈধ স্মার্ট পণ্য আমদানিতে কঠোর পদক্ষেপ দাবি, বিআইজেএফ বর্তমানে দেশে ১৭০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং চলছে, নসরুল হামিদ প্রথমবারের মতো বন্ধ হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন
রাজধানীতে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা’
ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২৩-০৫-২৬
রাজধানীতে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা’

ঢাকা মহানগর পুলিশের আট বিভাগে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০ হাজার সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। পুলিশ যেসব সিসিটিভি বসিয়েছে তার মধ্যে অপরাধ দমন ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। এসব সিসিটিভি অপরাধ করে অপরাধী পালানোর সময় এই ধরনের সিসিটিভি সংকেত দেবে।

রাজধানী ঢাকার অপরাধ দমন, নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় সিসিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বিবেচনা করেই পরিকল্পনা নিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে, বিশেষ করে ব্যস্ত রাস্তার মোড়, ইন্টারসেকশন, প্রবেশ-বাহির পথ, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-কেপিআই সংলগ্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রাইম ট্রাফিক মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা আরও ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা’।এসব ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, ডিজিটাল টহল নিশ্চিত করা। অর্থাৎ গভীর রাতেও নির্জন রাস্তা থাকবে পুলিশের নজরদারিতে।

জানা যায়,  ক্যামেরায় চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি থাকায় অপরাধী এবং পলাতক আসামিদের সহজেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। চুরি এবং ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করে কেউ পালিয়ে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়লে-তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া থাকবে স্বয়ংক্রিয় শব্দ চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা। রাজধানীর কোথাও কোনো শব্দ হলে তাৎক্ষণিকভাবে শব্দের বিস্তারিত তথ্যসহ কন্ট্রোলরুমে সিগন্যাল চলে যাবে। ফলে পুলিশের ভাষায় ‘শুটিং ইনসিডেন্ট’ বা গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে তথ্য পাবে পুলিশ। এমনকি কত দূরে গুলি হয়েছে এবং কী ধরনের অস্ত্রের গুলি, তাও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ক্যামেরায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম সিস্টেম।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, অপরাধ দমন ও অপরাধী ধরতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করছে পুলিশ। চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাইসহ অপরাধ দমন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, যানজট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে এই প্রযুক্তি। অপরাধী গ্রেপ্তারেও সহায়ক হবে। অপরাধী অপরাধ করে পালানোর সময় সংকেত দেবে এই ধরনের সিসিটিভি। 

অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত সিসিটিভি প্রযুক্তি অপরাধীদের আগের অপরাধের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানান দেবে অপরাধীর অবস্থান। এতে আধুনিক সফটওয়্যার সংযুক্ত রয়েছে। ফলে সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই অপরাধীর চেহারা শনাক্তসহ তার কোনো ডাটাবেজ থাকলে তা সহজেই বের করা যাবে। ক্যামেরাগুলো গাড়ির নম্বরের দিকেও খেয়াল রাখবে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নম্বরপ্লেটের ছবি তুলে রাখতে পারবে।  

প্রসঙ্গত, এই ধরনের প্রযুক্তির ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অনেক অপরাধীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে স্থাপন করা এক হাজার ৬শ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অসংখ্য চাঞ্চল্যকর, গুরুত্বপূর্ণ মামলাসহ নানা ধরনের অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শেয়ার করুন