ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পশুর নদ থেকে তোলা বালুর কবল থেকে বাণীশান্তার তিন শ একর তিনটি ফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে ধানখেতে মানববন্ধন করেছেন কৃষক কৃষাণীরা । রোববার খুলনার বাণীশান্তা ইউনিয়নের আমতলা আমন ধানের খেতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা হিরন্ময় রায়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ। সমাবেশে বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনে বক্তব্য দেন ‘নিজেরা করি’ খুলনার বিভাগীয় সমন্বয়কারী স্বপন দাস। এছাড়াও বক্তব্য দেন কৃষকনেতা গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কিশোর রায়, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সত্যজিৎ গাইন, কৃষ্ণ পদ মণ্ডল, বৈশাখী মণ্ডল প্রমুখ।
সমাবেশ চলাকালে বক্তারা বলেন, প্রশাসন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা ও ছলনার মাধ্যমে কৃষিজমিতে বালু ফেলার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার উৎপাদন বাড়ানো, কৃষিজমির ক্ষতি করে কোনো ধরনের উন্নয়ন করা যাবে না এবং এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না মর্মে বারবার সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেও প্রশাসন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর এ অনুশাসন মানছে না।
বক্তারা আরও বলেন, তবু বাণীশান্তা, আমতলা, ভোজনখালী, ঢাংমারি ও খাজুরা গ্রামের তিন ফসলি জমিতে কোনোভাবেই বালু ফেলতে দেবেন না। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পশুর নদী ড্রেজিংয়ের পর উত্তোলিত বালু বাণীশান্তা ইউনিয়নের কৃষিজমিতে ফেলে পরিস্থিতির অবনতি হলে তার জন্য প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। মানববন্ধনে বাণীশান্তা ইউনিয়নের কয়েক শ কিষান-কিষানি অংশ নেন।
এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ভূমিহীন কৃষক ও ক্ষেতমজুর কৃষিজমি রক্ষার্থে আন্দোলনে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। মানববন্ধন শেষে বাণীশান্তা বাজারে ‘নিজেরা করি’ র পরিবেশনায় গণসংগীত ও পথনাটক মঞ্চস্থ হয়।