কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে শিশু চুরি করতে গিয়ে লিমা খাতুন নামের এক নারী আটক হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই নারী। এছাড়াও কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী ও স্বজনদের মোবাইল ফোন চুরি করেও ধরা পড়েছিল এ নারী।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় রিমা খাতুন সন্ধ্যা থেকেই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরাফেরা করছিল। তার চালচলন দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ওই মহিলা হাসপাতালে একটি ওয়ার্ডে ঢুকে শিশু চুরি করার চেষ্টা করে। এসময় ওই শিশুর স্বজনরা অভিযুক্ত লিমাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে বিষয়টি কুষ্টিয়া মডেল থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লিমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
শিশুটির স্বজনরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লিমার ব্যাগে বিভিন্ন ঔষধ, সিরিঞ্জ, চিনি, বাচ্চাদের কাপড়চোপড় পাওয়া গেছে। সে শিশু চোর। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কর্তব্যরত নার্সরা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিশু চুরি করতে এসে এক নারী ধরা পড়েছে। রোগীর স্বজনরা তাকে পুলিশে দিয়েছে।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, লিমা নামের ওই নারী কয়েকদিন আগে খোকসা হাসপাতালের বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের মোবাইল চুরি করে ধরা পড়েছিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আমরা খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাই এবং অভিযুক্ত লিমা নামের ওই নারীকে আটক করি। বর্তমানের লিমা নামের ওই নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।