সিলেট নগরীর বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসময় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।রোববার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আ ফ ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট ল’কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়।
সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে হত্যার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাটিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। ছাত্রদলের মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনের ব্যানার,ফেস্টুন, ও গেট ভাঙচুর করা হয়।এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় ও বিক্ষোভ করতে থাকেন।
ছাত্রদলের অবস্থানের খবর পেয়ে চারদিক থেকে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলকে ধাওয়া দিলে তারা নগরের বিভিন্ন রোড দিয়ে সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
রাজপথে ছাত্রলীগের অবস্থানের খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শান্ত করেন ও তাদের রাস্তা থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে তারা সরে যান।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। যদি পুলিশ এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে, তাহলে আগামী (১৯ নভেম্বর) সিলেটে বিএনপির সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তবে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে।