আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেয়া জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
সভার সিদ্ধান্ত মতে,
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সড়ক পথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমন ও প্রত্যাবর্তনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা নির্বিঘ্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশস্থ বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কূটনৈতিকরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে গমণাগমন পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে।সেইসাথে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সকল স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখা এবং ওভারহেড তোরণ নির্মাণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসাথে, রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করা হবে।
দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে পূর্বেই স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিজয় দিবসের দিন জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের অ্যাম্বুলেন্স, উদ্ধার সরঞ্জাম ও অগ্নি নির্বাপন গাড়ি থাকবে।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। মাস্ক পরিধান করে অনুষ্ঠানে যেতে হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও প্রয়োজনবোধে অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে।