জাহাজ ভাঙা শিল্পে ১৮ বছরের নিচে শ্রমিক নিয়োগ কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। এছাড়াও দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিতল পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না হাইকোর্ট রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জাহাজ থেকে কী পরিমাণ পিতল সংগ্রহ করা হয় তা নিরুপণ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দেন।
এদিকে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবীর পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে ৩১ অক্টোবর, সোমবার মানবাধিকার সংস্থা ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিতল পাচার রোধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করে। এতে বিবাদী করা হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্ট আটজনকে।
এদিকে ১৯ জুন, ২০২২ বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
ওই সময় ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙার শিল্প। বিদেশ থেকে জাহাজ এনে ব্যবসায়ীরা সেটিকে ভেঙে লোহা, ইস্পাত ও পিতল আলাদা করে বিক্রি করেন। এসব কাজে হাজার হাজার শ্রমিক জড়িত। কিন্তু জাহাজ থেকে যে পিতল সংগ্রহ করা হয় দেশে বাজারে এর দাম তুলনামূলক কম।
এজন্য এসব পিতল পাশের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি করা হয়। আমাদের দেশেও বিভিন্ন কাজে প্রচুর পিতল ব্যবহার করা হয় আবার বিদেশ থেকে কিনতে হয়। এছাড়া পিতল পরিশোধন করার আগে পাচার হয়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হলেও বেশি দামে কিনতে হয়, তাই এগুলো প্রতিরোধে রিট করেছি।
ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির বলেন, কতিপয় পিতল পাচারকারীর কারণে জাহাজ ভাঙা শিল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। বিশেষ করে এখান থেকে পাওয়া পিতল বিদেশে চলে যাওয়ার কারণে দেশে গড়ে ওঠা পিতল নির্ভর কয়েক হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে চলেছে এবং সেখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু জাহাজ ভাঙা শিল্পে বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।