বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এবং হুন্ডিতে ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় অবৈধভাবে অর্থ পাঠানোর দিকে ঝুঁকছেন প্রবাসীরা।সেই সাথে ফ্রান্সে কমেছে রেমিট্যান্সপ্রবাহ।
এদিকে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অন্যতম খাত রেমিট্যান্স তবে হঠাৎ করেই কমে গেছে এই আয়। প্রবাসীদের অবৈধ পথে অর্থ লেনদেন কমিয়ে দিয়েছে রেমিট্যান্সপ্রবাহ।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে কেবল ফ্রান্স থেকেই ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গড়ে প্রতি মাসে ২১ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক দুই এক মিলিয়ন ডলার।
বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোকে অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার পেছনে এটিই প্রধান কারন, ফ্রান্সে বসবাসরত অনেক প্রবাসীর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছেন।
একপ্রবাসীর মতে, আমাদের বৈধ কোনো কাগজ নেই তাই বাধ্য হয়ে আমাদের হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয়। এখন রেমিট্যান্সের হার অনেক কম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যে হার ছিল তা এখন অনেক কমে গেছে। তবে, যখন টাকার দাম বাড়ছে তখন রেমিট্যান্সের প্রবাহও বাড়ছে।
ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীদের সঞ্চয় কমে গেছে, যা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে