বরিশাল জেলা সদরের পারিবারিক কলহের জেরে ৫৫ বছর বয়সী ইকবাল কবির নামে এক ব্যক্তি কে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ এসেছে। গতকাল দিবাগত রাতে বরিশাল জেলা সদরের পলাশপুর এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কবিরের স্ত্রী জাফরিন আরা ওরফে পপিকে আটক করে সে বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানা পুলিশ।
নিহত ইকবাল কবীর দীর্ঘদিন যাবৎ বরিশাল জেলার কাউনিয়া উপজেলা 5 নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তার বাবার নাম শেখ দেলোয়ার হোসেন। পূর্বে ইকবাল লঞ্চে কাজ করে থাকলেও পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বরিশাল জেলা সদরের একটি অটো রিকশার গ্যারেজ দেন।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং মামলার নথি থেকে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায় রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে নিজ বাড়ির ছাদে বসে ছিলেন নিহত ইকবাল। এ সময় হঠাৎ করে তার স্ত্রী পিছন থেকে এসে ইকবালকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পড়ে আহত ইকবালের চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা তাঁর স্বজনেরা এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা আরো উন্নত চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। কিন্তু ঢাকা নেওয়ার পথে ইকবাল মারা যান।
এ বিষয়ে নিহত ইকবালের স্বজনরা অভিযোগ করেন যে দীর্ঘদিন যাবৎ ইকবালের স্ত্রী পলাশপুর এলাকার বাড়িটি নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য তার স্বামীকে চাপ দিতে থাকেন। এই নিয়ে প্রতিদিনই তাদের ভিতর তর্ক বিতর্ক হত। প্রতিদিনের মতো গতকালও তাদের মধ্যে পলাশপুর এলাকার বাড়িটি নিয়ে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ইকবাল বিরক্ত হয়ে বাড়ির ছাদে একা বসে থাকেন। সুযোগ বুঝে স্ত্রী জাফরিন আরা ওরফে পপি পিছন থেকে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী ইকবালকে কপালে থাকলে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কাউনিয়া উপ-পরিদর্শক এসআই এনামুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জাফরিন আরাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত ইকবালের লাশটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানায় ইকবাল এর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এই মামলার তদন্ত শেষ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।