ছোটবেলা থেকেই ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু বয়স কম হয় পরিবারের সম্মতি ছিল না। তই অর্থ উপার্জন করতে বিমান বন্দর এলাকার পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন এই ব্যক্তি ।
বলছিলাম ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর এলাকার আমির কুতুবের কথা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে কমবয়সী ব্যবসায়ীদের তালিকা আমির কুতুবের নাম থাকবে সবচেয়ে উপরের তালিকা। এর আগে ২০২২ সালে আমি বিশ্ববিদ্যালয় এম বি এ পাশ করার উদ্দেশ্যে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন। এর জন্য তাঁর বাবাকে ঋণ করতে হয়।
জিলংয়ের ডিকলিং ইউনিভার্সিটি থেকে ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট আমির এমবিএ শুরু করেন। এ সময় তিনি একটি বিজনেস শুরু করার জন্য টাকা জমা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এ সময় তার কাছে কোনো বাড়তি টাকা ছিলনা। তাই বাবার কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে কোনো লাভ হয়নি। কেননা অস্ট্রেলিয়া ছেলেকে পড়াতে পাঠিয়ে এখন পর্যন্ত বাবার খরচ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
কোন উপায়ন্তর না দেখে বিদেশী বুথ থেকে টাকা উপার্জনের মাধ্যম খুঁজতে শুরু করেন আমির। দেশের বেশি কোম্পানিতে আবেদন করে আমির। তাতে কোনো লাভ হচ্ছিল না। অবশেষে বিমানবন্দরে সাফাই কর্মী হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
পার্ট টাইম জব হিসেবে তিনি সপ্তাহে চারদিন ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করার পর লেখাপড়ার সুযোগ পেতেন না। তানজিনা অস্ট্রেলিয়া রাস্তা খবরের কাগজ বিক্রি করতে শুরু করে। রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পত্রিকা বিক্রি করে তিনি সারা দিন ধরে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি চাকরির আবেদন করাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে শিক্ষার যোগদান করেন তিনি। এর পর অপারেশন ম্যানেজার পদে একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তাঁর বেতন ছিল মাসে পাঁচ হাজার ডলার।
একশন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকটে পড়লে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কোম্পানি ছেড়ে চলে যান। এসময় আমিরকে পদোন্নতি দিয়ে জেনারেল ম্যানেজার পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় এ সুযোগটি হাতছাড়া করেননি আমির আরো পরিশ্রম করে কোম্পানিকে সফল করেন তিনি। ফলে কোম্পানির তরফ থেকে তাকে ২৫ বছর বয়সেই সেই সংস্থার নবীনতম জিএম পদে পদোন্নতি দেয়।
এরপরই আমি নিজে থেকে একটি ডিজিটাল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৪ সালে ৩,৪ টি স্টার্টআপ সহপ্রতিষ্ঠাতা সহ একটি সংস্থা চালু করেন আমির।
ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার লোকজন নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে একে অন্যকে সাহায্য করতে পারত বর্তমানে ওয়েবসাইটটির সাফল্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে ছাত্রছাত্রীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে অন্যকে সাহায্য করছেন।
বর্তমানে তাঁর সংস্থাটির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বাংলাবাজার বর্তমান ভারতীয় মুদ্রায় সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় আট কোটি রুপি।