মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ককটেল বিস্ফোরণে 3 ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। (৩১ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি অটোরিকশায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য সুমন প্রধানকে (২৪) ও ছাত্রলীগ কর্মী নিঝুম (১৮) ও আরিফ (১৯)।
এরমধ্যে ছাত্রলীগকর্মী নিঝুম আরিফকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা সুমনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় মহাসমাবেশ সামনে রেখে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কারাবন্দী কামরুজ্জামান রতনের মুক্তির দাবিতে বের করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ওই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায় গতকাল রাতে মুন্সীগঞ্জের বাস স্ট্যান্ড থেকে আনার নূরানী সিএনজিচালিত একটি বেবিটেক্সিতে এলাকা অতিক্রম করার সময় হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণ চালিয়ে জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং এ সময় তারা বেশ কয়েকটি সিএনজি অটো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। ওই দলটি জিয়ার সৈনিকেরা এক হও, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কারাবন্দী কামরুজ্জামান রতনের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এটি বিএনপি কর্মীদের নাশকতা।
সিএনজি অটোরিকশার চালক মোশাররফ হোসেন জানান, মহাসড়কের ভবের চর বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাত্রলীগের ৩ কর্মীকে নিয়ে আনারপুরা যাচ্ছিলেন। পথে মুখোশ পরা একটি দল মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসে। তারা বিএনপির ভাষন স্লোগান দিচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করে সেখান থেকে ককটেল ছোড়া হয়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগে সবকিছু ধোঁয়ার মতো হয়ে যায় এবং একপর্যায়ে আমার অটোরিকশাটির ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় তারা।
গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আগামী ১০ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে সামনে রেখে অস্থিথিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করছে। সহিংসতায় জড়িত কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম জানা গেছে । তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক সিদ্দিকুল্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন , এই দিন বিএনপি'র কোন সভা-সমাবেশ-মিছিল হওয়ার কথা ছিল না। তাই বিএনপির কোনো নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে বের হননি। সুতরাং ককটেল ছোঁড়ার তো প্রশ্নই আসে না। ঢাকার মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ ও সরকার দলের লোকজন বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ও মামলা দায়ের করার লক্ষ্যেই এ ঘটনা সাজিয়েছে।