যে বয়স শিশুদের খেলার সময় , সেই বয়সে পর্নোগ্রাফি আর যৌন নির্যাতনে জড়িয়ে যাচ্ছে ফিলিপাইনের শিশুরা।। শিশুদের মা-বাবারাই তাদেরকে এমন ধরণের কর্মকাণ্ডে জড়াতে বাধ্য করছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, বছরের পর বছর সারা বিশ্বে শিশুদের পেডোফাইলদের জন্য লাইভ সেক্স শো করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এক তথ্যসুত্রের ঘটনায় জানা গেছে, ফিলিপাইনের এক শিশু এরিক, তার বয়স ৭ বছর। যৌন নির্যাতনে জড়িয়ে পড়াদের মধ্যে এরিক একজন।
জানা যায়, এরিকের প্রতিবেশী এবং আশপাশের মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে আর পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ যখন জেগে ওঠে তখন ওই সময়ে এরিকের মা এরিককে ও তার ভাইবোনদেরকে লাইভ সেক্স শো করতে বাধ্য করে।
এদিকে এরিকের বাবা পরিবারের সাথে বিবাদের জেরে স্ত্রী ও পরিবারের বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করলে, তদন্তকারীরা যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থপ্রদানের সন্ধান পায়।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ক্যামেরার সামনে শিশুরা ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এতে মা, বাবা এবং বাড়ির অন্য সদস্যরাও অংশ নেয়।
দাতব্য সংস্থা প্রেডার কাছে বিষয়টি দৃষ্টি গোচরে আসলে তাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।মূলত প্রেডা যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের নিয়ে কাজ করে থাকে। সংস্থাটি এরিককে ও তার ভাইবোনদেরকেও সহায়তা দেন।
এদিকে ফিলিপাইনে সমাজকর্মী ফেডালিন মেরি বাল্ডো ১৭ বছর ধরে শিশুদের সহায়তায় কাজ করছেন।তাঁর মতে তিনি, যে সময় শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন ওই সময় শিশু যৌন নির্যাতনের ছবি এবং ভিডিও ফিলিপাইনে বিলিয়ন ডলার শিল্পে পরিণত হয়েছিল। এখনো এই ধরনের শোষণের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম উৎস হিসেবে পরিচিত ফিলিপাইন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দারিদ্র্য, উচ্চ গতির ইন্টারনেট এই শোষণকে অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখছে। ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ফিলিপাইনে প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজন যৌন শোষণের ঝুঁকিতে রয়েছে এমন তথ্য দিয়েছে।তথ্য অনুযায়ী যৌন শোষণের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখের কাছাকাছি।
আশংকা করা হচ্ছে, দেশটিতে শিশুদের ওপর শোষণ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দরিদ্রতম এলাকায় শোষণের মাত্রা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে।
ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস শিশু নির্যাতন বন্ধে কাজ শুরু করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদন মতে , দেশটির পর্ণো ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক প্রসার লাভ করছে। চলতি বছর ফিলিপাইনে শিশু নির্যাতন ২৮০ শতাংশ বেড়েছে।